Motivational story in Bengali | অনুপ্রেরণামূলক গল্প । Inspirational story |
অনেক শিক্ষণীয় গল্প যা বিশেষ করে জীবন বদলে দিতে পারে এবং ইহা জীবনে অপরিসীম
গুরুত্বপূর্ণ তা প্রমাণীত হয়। This blog is about motivational story about
life in bangla and is
also an Inspirational story for every life and it can change your lifestyle |
জীবন বদলে দেওয়া গল্প
![]() |
motivational story about life |
অনুপ্রেরণামূলক গল্প (Motivational story)– একবার একটি ছেলে তার বাবার সাথে ট্রেনে কোথাও যাচ্ছিল । বয়স অনুমান ১৮-২০ হবে। সকাল ৮টা । ছেলেটি ট্রেনের জানালার পাশে বসেছিল এবং বাহিরের দিকে দেখছিল । নির্মল আকাশ, সাদা সাদা মেঘ আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে।
সকাল বেলা সূর্যয়ের আলো মেঘগুলোকে আরও উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। চারদিকে সবুজ অরণ্য , স্টেশন
টিকে আরও মনোহর করে তুলেছে। ছেলেটির মনে আজ হাজারও প্রশ্ন । প্রথমবার সে সবকিছু দেখতে
পাচ্ছে, এতদিন শুধু গল্প শুনেছে, গাড়ীর শব্দ শুনেছে, গাড়ী কোনদিন দেখেনি। ট্রেনের সাইরন
বাজার শব্দ শুনেছে, ট্রেন চোখে দেখেনি। আজ সবকিছুই তার কাছে নতুন তাই অবাক হয়ে দেখছে।
অবশেসে ট্রেন চলতে শুরু করে । রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছ গুলো যেন পিছনে যেতে শুরু করে । ত্রেনের স্পীড যত বাড়ছিল, ততই যেন গাছ গুলো আরও বেশী গতিতে পিছনে যেতে শুরু করে । ছেলেটি কিছুই বুঝে উঠতে পারছিল না । ছেলেটি একটু স্থম্বিত হয়ে উঠে বাবাকে বলতে লাগলো , দেখ বাবা - রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছ গুলো যেন পিছনে ছুটে যাচ্ছে ? এটি শুনে বাবা একটু হাসলেন । পাশে বসে থাকা একজন
মহিলা ছেলেটি কথা শুনে ভাবলো ছেলেটি হয়তো পাগল অথবা ভীষণ বোকা । ঠিক তখনই ছেলেটি আবার বলে উঠলো , দেখ বাবা আকাশের মেঘগুলো যেন আমাদের সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছে । আবারও তার বাবা ছেলের কথা শুনে একটু হাসলেন কিন্তু কোন কথা বললেন না । এবার পাশে থাকা মহিলা ছেলেটির বাবার দিকে তাকিয়ে বললেন – আপনি ছেলেটিকে কেন একজন ভালো ডাক্তার দেখান না ? ছেলেটিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান । এবার ছেলেটির বাবা বললেন ঠিক বলেছো আমি আজই ছেলেটিকে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ী ফিরছি । সে চক্ষু ফিরে পাওয়ার পর আজই তার প্রথম ভ্রমন। ছেলেটি জন্ম থেকে অন্ধ ছিল । সে কিছুই দেখতে পেত না । আজই প্রথম বার পৃথিবীর আলো দেখতে পাচ্ছে । তাই সে কিছু বুঝে উঠতে পারছে না। আজ তাঁর কাছে পৃথিবীর সবকিছুই নতুন। এটি শুনে মহিলাটির চোখের জল চলে আসে । সে তার ভুল বুঝতে পারে এবং নিজের মন্তব্যের জন্য নিজেকে ছোট মনে করতে থাকে ।
বন্ধুরা, পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের একটি অতীত আছে বা অতীত থাকতে পারে । তাই কহারও সম্পর্কে কোন কিছু না জেনে কখন কাহারও বিচার করবেন না । তাঁর সম্পর্কে কিছু বলবেন না কারন হতে পারে সত্যিটা সামনে আসার পর আপনাকে হয়ত নিজের কাছে নিজেকে ছোট মনে হতে পারে বা নিজেকে লজ্জিত হতে হবে ।
2nd motivational story about life । inspirational story |
একদিন এক Husband and
wife তাদের দুই সন্তানকে নিয়ে মেলা দেখতে যান। অভি ও সায়ন। সায়ন অভি থেকে দু বৎসরের ছোট। সায়নের বয়স সবেমাত্র ৫ বৎসর। তাদের দুই সন্তানই খুবই খুশি ছিল কারণ তাহারা জীবনের প্রথম বার মেলা দেখতে শহরে আসে । তাও অনেক বায়নার পর । তাদের পরিবার খুবই গরীব ছিল । গ্রাম ছেড়ে কোনদিনই তাহারা শহরে আসেনি। শহরের রাস্তায় নানান রঙের গাড়ী, বিল্ডিং, লাইট, খেলনা ইত্যাদি দেখে ছেলেগুলি খুবই আনন্দিত। এরপর অবশেষে তাহারা মেলায় পৌঁছে। বাবা, ছেলেগুলি ও তাদের মাকে বলল তোমরা এখানে দাড়াও । আমি তোমাদের জন্য টিকেট নিয়ে আসি। মেলায় প্রবেশ করতে হলে টিকেট লাগবে। তখনই ঐ লোকের ছোট্ট ছেলেটি বলল আমিও তোমার সাথে টিকেট কিনতে যাবো বাবা। বাবা বললেন চল। এই বলে বাবা ও ছেলে টিকেট কিনতে লাইনের দিকে গেলেন। একটু পর ছোট্ট ছেলেটি বাবার কোলে উঠতে চাইলো । বাবাও ছেলেটিকে কোলে নিয়ে লাইনে দাঁড়ালেন । দুপর বেলা , প্রকড় রৌদ্র তবু যেন এক নতুন আনন্দ ছোট্ট ছেলেটিকে আর আবেগ প্রবণ দেখা গেল। ছেলেটি বাবাকে বলতে লাগলো মেলায় প্রবেশ করার পর সে চড়কী চরবে, বেল্পুরি খাবে, খেলনা কিনবে আরও কত কিছু। বাবা শুধু আশ্বস্ত করে গেলেন সবই হবে। অবশেষে কাউন্টারে এসে পৌঁছলেন । এবার লোকটি চারটি টিকেট কিনতে চাইলেন। কাউন্টারে থাকা লোকটি বলল আপনি চারটি টিকেটের জন্য ২৪০ টাকা দিন । এটি শুনে লোকটির যেন পায়ের পাতার মাটি সরে গেল। লোকটি যেন একটু সময়ে চিন্তায় পড়ে গেলো কারন লোকটির কাছে আছে শুধুমাত্র ২০০ টাকা। এই টাকা দিয়ে কোনভাবে চারটি টিকেট হবে না। শুধুমাত্র তিনটে টিকেট পাওয়া যাবে। অথচ ছোট্ট ছেলেটি মা ও বাবা ছাড়া মেলায় যাবে না। কি করবেন কিছু যেন ভেবে উঠতে পারছেন না। ঐ টাকা দিয়ে টিকেটই হচ্ছে না অথচ ছেলেটি বায়না ধরেছে মেলায় গিয়ে চড়কী চড়বে, বেল্পুরী খাবে এমনকি খেলনাও কিনবে এছাড়াও রয়েছে বাড়ী যাওয়ার ভাড়া। এসব হাজারও চিন্তা যেন লোকটির মন উদাস হয়ে উঠল। এদিকে কাউন্টারে থাকা লোকটি বলল – কি হল দাদা টাকা দিন, পিছনে অনেক লম্বা লাইন। তাড়াতাড়ি টাকা দিন। পিছনে দাঁড়ানো লোকটি মানুষটির মনের অবস্থা দেখে বুঝতে পেরেছিল এবং তৎক্ষণাৎ গরীব লোকটির পিঠে হাত দিয়ে বলল দাদা আপনার পকেট থেকে পাঁচশ টাকা পড়ে গেছে তুলে নিন। তিনি পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখলেন সত্যি সেখানে পাঁচশ টাকা পড়ে আছে। কি করবেন কিছু বুঝতে পারলেন না। এরপর আবার পিছনের লোকটি বলল – দাদা টাকাটা তুলে নিন এটা আপনারই টাকা। গরীব লোকটি এবার টাকাটা তুলে নিয়ে কাউন্টার থেকে চারটি টিকেট কিনে মেলায় পরিবার সহ প্রবেশ করলেন। ছেলে দুটি এতই আনন্দিত যে বাবা তাদের মেলা দেখালেন, চড়কী ও বেল্পুড়ি কিছুই বাদ যায় নি । ছেলেদের আনন্দ দেখে বাবাও পরিবারের অভাব অনটন ভুলে ছেলেদের সাথে আনন্দে মেতে উঠলেন। অন্যদিকে অপর লোক যিনি এই আনন্দের সাহায্যকারী, তিনি তা দূর থেকে দেখতে থাকলেন এবং সামান্যটুকু সাহায্য করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করে তৃপ্তিতে চলে গেলেন।
অপর দিকে পিছনে থাকা সাহায্যকারী লোকটির সাথে থাকা লোকটির ছোট্ট ছেলে তা মন দেখছিল এবং সবকিছু বুঝতে পেরেছিল। সেও তার বাবার সাথে মেলা দেখতে এসেছিল।সে দেখছিল- কিভাবে তার বাবা নিজের পকেট থেকে পাঁচশত টাকা বের করে নিচে ফেলে দিয়ে ঐ গরীব ব্যাক্তিটিকে সাহায্য করলেন।
Conclution – জীবনে কাহারও উপকার করার জন্য খুব বেশী ধনী হওয়ার দরকার নেই।
আমরা যেখানে আছি, যেভাবে আছি, যে অবস্থায় আছি সেখানেই থেকে যদি কাহারও উপকার করতে পারি
তবেই অনেক। উপকার করার জন্য মন চাই। আপনার এই ছোট্ট উপকার কাহারও জন্য অনেক হতে পারে।
এই উপকার হয়তো অন্যের জীবন বদলে দিতে পারে। আজ যদি আপনি কারও জীবনে খুশি এনে দিতে পারেন,
মনে রাখবেন ঈশ্বর / GOD আপনাকে এর দ্বিগুণ খুশি দিবেন । আপনার জীবন আরও সুখের হবে অথবা
আপনার সন্তান আরও সুখে থাকবে। এই পুন্যের ফল অবশ্যই তাহারা পাবে। এই প্রকার Motivational
story থেকে জীবন
বদলে
যেতে
পারে
যদি
আপনি
এর
সঠিক
মুল্য
বোধ
উপলব্ধি
করতে
পারেন
। This is the life changing motivational story and is also a success story for
life in bangla